গাজীপুরের শ্রীপুর প্রবাসীর স্ত্রী ও তিন সন্তানকে হত্যার ঘটনায় মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
-----------------------------------------------------------------------রবিবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগ্রেশনের পরিদর্শক হাফিজুর রহমান।
বুধবার রাতে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার এলাকায় মা, দুই মেয়ে ও এক প্রতিবন্ধী ছেলেকে গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
গ্রেফতার হওয়া ঘাতকের নাম পারভেজ (২০)। সে আবদার গ্রামের কাজিম উদ্দিনের ছেলে। পারভেজ ছাড়াও ওই হত্যাকান্ডে আরও বেশ কয়েকজন অংশ নিয়েছিলো।
পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, রবিবার রাতে পারভেজকে আবদার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকান্ডের দায়িত্ব স্বীকার করে। পরে তাকে নিয়ে অভিযানে বের হয় পিবিআই। এসময় পারভেজের ঘর থেকে তার দেখানো মতো রক্তমাখা কাপড় ও মাটির নিচে চাপা দেয়া অবস্থায় মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এসময় একটি পায়জামার ভেতর থেকে তিনটি গলার চেন, ফাতেমার কানের দুলসহ কিছু স্বর্ণলংকার উদ্ধার করা হয়েছে।
এবিষয়ে বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগ্রেশনের পরিদর্শক হাফিজুর রহমান।
জানাগেছে, পারভেজের বিরুদ্ধে আবদার এলাকার আলোচিত মা ও সন্তানসহ একই পরিবারের চারজনকে হত্যার আগে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি নীলিমা নামে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় পারভেজের বিরুদ্ধে মামলা হলে বয়স বিবেচনায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পায় সে। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর শিশু নীলিমার পরিবারকে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। মামলা প্রত্যাহার না করা হলে তাদের মারপিট করে এলাকা ছাড়া করবে বলেও হুমকি দেয়া পারভেজ ও তার পরিবারের সদস্যরা। এ বিষয়ে ২০১৮ সালে ২৮ আগস্ট নিরাপত্তা চেয়ে পারভেজ, তার বাবা কাজিম উদ্দিন, মা মোছা. কামরুন্নাহার ও আবুল কালামের নাম উল্লেখ করে শিশু নীলিমার বাবা হাসান ওরফে ফালান শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
0 মন্তব্যসমূহ